স্টারলিংক ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা
স্টারলিংক হলো স্পেসএক্সের একটি স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট প্রকল্প। এর উদ্দেশ্য পৃথিবীর যেকোনো স্থানে হাইস্পিড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা।
স্টারলিংক পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে (লো-আর্থ-অরবিট বা LEO) স্যাটেলাইট স্থাপন করে। এই স্যাটেলাইটগুলো ভূ-পৃষ্ঠের স্টেশনগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। লেজার লিংকের মাধ্যমে স্যাটেলাইটগুলো একে অপরের সঙ্গে ডেটা বিনিময় করে, যা উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করে।

স্টারলিংক ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা
স্টারলিংক ব্যবহারের ৫টি সুবিধা
১. উচ্চগতির ইন্টারনেট – শহর ও গ্রাম উভয় এলাকায় সমান গতি স্টারলিংক শহর ও প্রান্তিক অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। এতে শহর ও গ্রাম উভয় এলাকায় সমান ইন্টারনেট গতি পাওয়া সম্ভব।
২. লো ল্যাটেন্সি – অনলাইন গেমিং ও লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অবস্থান করায় ল্যাটেন্সি কম হয়। এতে অনলাইন গেমিং ও লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং আরও সহজ ও দ্রুতগতির হয়।
৩. অপটিক্যাল ফাইবারের বিকল্প – যেখানে ব্রডব্যান্ড নেই, সেখানে কার্যকর সমাধান ।যেসব স্থানে অপটিক্যাল ফাইবার বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছেনি, সেখানে স্টারলিংক কার্যকর সমাধান হিসেবে কাজ করতে পারে। এতে প্রত্যন্ত এলাকায়ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।
৪. সহজ সেটআপ ও মোবিলিটি – যে কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ।স্টারলিংক কিটের সেটআপ প্রক্রিয়া সহজ এবং এটি সহজে বহনযোগ্য। ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী এটি বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ইন্টারনেট সেবা পেতে পারেন।
৫. প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ইন্টারনেট সংযোগ স্টারলিংক স্যাটেলাইট-ভিত্তিক হওয়ায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও ইন্টারনেট সেবা সচল রাখা সম্ভব। এতে জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখা সহজ হয়।
স্টারলিংকের ৫টি অসুবিধা
১. উচ্চমূল্য – বাংলাদেশের জন্য মাসিক খরচ বেশি স্টারলিংক সেবার জন্য প্রাথমিক সরঞ্জাম ও মাসিক ফি বাংলাদেশের অনেকের জন্য ব্যয়বহুল হতে পারে। হার্ডওয়্যার ফি প্রায় ৫৯৯ ডলার এবং মাসিক সেবা ফি প্রায় ১২০ ডলার।
২. খারাপ আবহাওয়ার প্রভাব – বৃষ্টি ও মেঘলা দিনে সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে বৃষ্টি বা মেঘলা আবহাওয়ায় স্যাটেলাইট সিগন্যাল দুর্বল হতে পারে, যা ইন্টারনেট সেবার গতি ও স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. সীমিত কভারেজ – বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে উপলব্ধ স্টারলিংক সেবা বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে সীমিত। বাংলাদেশে সেবাটি চালু হওয়ার প্রক্রিয়াধীন।
৪. সরকারি অনুমোদন ও নীতিমালা সংক্রান্ত জটিলতা স্টারলিংক সেবা চালুর জন্য সরকারি অনুমোদন ও নীতিমালা অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশে সেবাটি চালুর জন্য এ বিষয়ে কাজ চলছে।
৫. প্রচলিত ব্রডব্যান্ডের তুলনায় স্থিতিশীলতা কিছুটা কম এই উন্নত ইন্টারনেট সেবা কিছু ক্ষেত্রে প্রচলিত ব্রডব্যান্ডের তুলনায় কম স্থিতিশীল হতে পারে, বিশেষ করে খারাপ আবহাওয়ায়।
আরো পড়ুন: দেশজুড়ে চলছে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট স্টারলিংক উন্মাদনা